তবুও কবিতা পড়ুন

     কবিতারা শব্দ হয়ে যাচ্ছে। মানুষেরা লিখে যাচ্ছে যত খুশি - ভুল শুদ্ধ লাল খয়েরী যা কিছু এসবকে কেউ সাহিত্য বলছে, কেউ বলছে কাগজের ঝুড়িতে না এসে প্রকাশিত হচ্ছে।  অযোগ্য মানুষেরা কবি হলে সাহিত্য কি থাকে? কখনো ভেবেছেন সফল ভেবে যাকে পকেটে ঢুকিয়েছিলেন সেও দামী প্রচারণায় জাল নোট। শুনেছি বেশি মাপঝোঁক করলে কবিতা গদ্য হয়ে ডাঙায় কই মাছের মত পাখনা ঝাঁপটায়। কবিতার প্রাণ কবির ইচ্ছেতে, কবিতার প্রান কবির অন্তরের সৌরভে,      

    আদতে এসব গোলকধাঁধায় সাফল্য জানে না একনিষ্ঠ লিখিয়েরা, গন্তব্য নেই সাহিত্যের আর আমরা বুঝি কবিতা এক জীবনের মাধ্যম, কেউ দেখে কেউ তাকে বিশ্লেষণ করুক, অথচ হৃদয়ের উত্তাপ থাকুক, তাতে টকো লেবুতে লেখা হৃদয়ের গোপন অক্ষর পোড়া রঙে ভেসে ওঠুক। গুল্ম শৈবাল থেকে অশত্থের প্রতিটি বৃক্ষ যেমন আলাদা। কবিতাও তাই। কবিও কি নয়? কবি সৃষ্টি করে সময় এবং কবি ছক বাঁধা কাঠামোকে খুঁড়ে খুঁড়ে ঝুর ঝুরে কংক্রিটের উদ্ভাবন করে। সে হয়তো ঘুনপোকা, নিজের ভিতরে ভাবনা কেটে এনে সেই গুঁড়ো ভাবনা শব্দেরা এমন ভাবে রাখে ...উদ্ভিদের গায়ে করাত, তার শরীরে পেরেকের বিন্ধন, তার আসবাব হয়ে যাবার ব্যথা উঠে আসে, আর সেখানে থাকে অঙ্কুরিত বীজের স্মৃতি। কোন মানুষই নগন্য নয়। তাই ভাবনা ফেলনা নয়। যে নগন্য হাত--কোদাল-টুকরি শ্রমিক তার জীবনের সুখ, দু:খ আনন্দ অট্টালিকার ব্যয়বহূল কীটদের চাইকে এক বিন্দু নয়।